শনিবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০১৫


DMF: Diploma in Medical Faculty এটা এ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসা বিদ্যায় সারাবিশ্বে স্বীকৃত একটা ডিপ্লোমা ডিগ্রি। অল্টারনেটিভ মেডিসিন(হোমিওপ্যাথিক,ইউনানী ও আয়ুরবেদিক) চিকিৎসা বিদ্যায় সারাবিশ্বে স্বীকৃত যেমন:Diploma in Homeopathic Medicine and Surgery(DHMS) Diploma in Unani Medicine and Surgery(DUMS) Diploma in Ayurvedic Medicine and Surgery(DAMS)ডিপ্লোমা ডিগ্রি আছে, ঠিক তেমনি DMF: Diploma in Medical Faculty এটা এ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসা বিদ্যায় সারাবিশ্বে স্বীকৃত একটা ডিপ্লোমা ডিগ্রি।

DMF এর ইতিহাস:
১৭০০ খ্রীষ্টাব্দের শুরুর দিকে আজকের এই বাংলাদেশ,ভারত,পাকিস্তান ছিল ব্রিটিশ সরকারের উপনিবেশ। যা উপমহাদেশ নামে পরিচিত ছিল।এই উপমহাদেশটি তিন টি ভাগে বিভক্ত ছিল।প্রথমত:ভারত অনেক গুলো অঙ্গরাজ্যের সমন্বয়ে।দ্বিতীয়ত:পূর্ব পাকিস্তান(বাংলাদেশ)। তৃতীয়ত: পশ্চিম পাকিস্তান(পাকিস্তান)।অষ্টাদশ শতক পর্যন্ত এ উপমহাদেশ চিকিৎসা বিদ্যায় তেমন কোন উন্নতি সাধন করতে পারেনি। যার কারনে ব্রিটিশরা চিকিৎসা বিদ্যার উন্নতির জন্য এই উপমহাদেশটির কিছু অঙ্গরাজ্য সমূহে "দি স্টেট মেডিকেল ফ্যাকাল্টি"তৈরী করে চিকিৎসা বিদ্যায় লাইসেন্সশিয়েট মেডিকেল ফ্যাকাল্টি(এল এম এফ কোর্স)মেম্বার অব মেডিকেল ফ্যাকাল্টি(এম এম এফ কোর্স)পরিচালনা করেন। যাতে করে এই উপমহাদেশে মধ্যম মানের চিকিৎসক তৈরী করা সহজতর হয়। ১৯৪৬ সাল পর্যন্ত যখন এদেশে চিকিৎসা বিদ্যায় স্নাতক কিংবা স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী চিকিৎসক অথবা স্নাতক, স্নাতকোত্তর ডিগ্রি প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান কোনটাই ছিল না, তখন ঐ মধ্যম মানের চিকিৎসকেরাই আজকের এই বাংলাদেশের আবহমান জনগোষ্ঠীর মান সম্মত চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করেছেন।


অতপর যখন ১৯৪৬ সালে আমাদের দেশে “মেডিকেল কলেজ” স্থাপিত হয় তখন পূর্বের (এল এম এফ কোর্স)ও (এম এম এফ কোর্স) ধারীদের MBBS কোর্স করিয়ে পদন্নোতি দিয়ে মহকুমা হাসপাতাল ও প্রশাসনে নিয়োগ প্রদান করা হয়। ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭৩ সনে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সরকার (এল এম এফ কোর্স)ও (এম এম এফ কোর্স) এর কারিকুলাম অনুসারে Diploma in Medical Faculty(DMF)কোর্স প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় আন্তর্জাতিক ভাবে অনুমোদন করিয়ে নিয়ে আসেন। যাতে করে এই বাংলাদেশে মধ্যম মানের-ডিপ্লোমা চিকিৎসক তৈরী করা সহজতর হয়।এবং বাংলার সকল শ্রেণীর মানুষের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত হয়।

ব্রিটিশদের সৃষ্ট্র মেডিকেল ফ্যাকাল্টি সমূহ যেমন:দি স্টেট মেডিকেল ফ্যাকাল্টি অব ইষ্ট বেঙ্গল,দি স্টেট মেডিকেল ফ্যাকাল্টি অব ওয়েষ্ট বেঙ্গল,দি স্টেট মেডিকেল ফ্যাকাল্টি অব ওয়েষ্ট পাকিস্তান,দি স্টেট মেডিকেল ফ্যাকাল্টি অব ইষ্ট পাকিস্তান,দি স্টেট মেডিকেল ফ্যাকাল্টি অব পাঞ্জাব,ইত্যাদি।এরই ফলস্রুতিতে ১৯১৪ সালে তৈরী হয় "দি স্টেট মেডিকেল ফ্যাকাল্টি অব ইষ্ট বেঙ্গল, এবং ১৯৪৭ সালে তা রূপান্তরিত হয়, দি স্টেট মেডিকেল ফ্যাকাল্টি অব ইষ্ট পাকিস্তান।"পরবর্তীতে বাংলাদেশ স্বাধীন হলে, দি স্টেট মেডিকেল ফ্যাকাল্টি অব ইষ্ট পাকিস্তান,রূপান্তরিত হয়"দি স্টেট মেডিকেল ফ্যাকাল্টি অব বাংলাদেশ" এ। যেমন(মেডিকেল কলেজের)চিকিৎসা বিদ্যায় স্নাতক ডিগ্রি (এমবিবিএস/বিডিএস)সার্টিফিকেট দেয় বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি অব মেডিসিন।এবং চিকিৎসা বিদ্যায়(এমএস/এমডি স্নাতকোত্তর ডিগ্রির সার্টিফিকেটের দেয় বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি অব পোষ্ট গ্র্যাজুয়েট মেডিকেল সায়েন্সেস এন্ড রিসার্চ, বর্তমানে বিএসএমএমইউ থেকে। references:www. State medical faculty of west Bengal.comwww. State medical faculty of bangladesh.com www. State medical faculty of panjab.com www. State medical faculty of east bengal.com www. State medical faculties of india.com www. State medical faculties of pakistan.com www. State medical faculty of east pakistan.com etc.


বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল(বিএমডিসি)চার ৪ টি ক্যাটাগরিতে(এ্যালোপ্যাথিক)চিকিৎসকদের রেজিস্ট্রেশন দেয়। ১।পোষ্ট গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রি/পোষ্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা ডিগ্রি অর্থ্যাৎ মাস্টার্স ডিগ্রি-মেডিকেল ও ডেন্টাল(স্বীকৃত মেডকেল শিক্ষাগত যোগ্যতা যেমনঃ এমএস,এমডি,এফআরসিএস,এমপিএইচ,পিএইচডি,ডিও-চক্ষু, ডি-কার্ড ইত্যাদি)। বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল(বিএমডিসি)এর তৃতীয় ও চতুর্থ তপসিল অধিভূক্ত।

২।গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রি/ব্যাচেলর ডিগ্রি/স্নাতক ডিগ্রি-মেডিকেল ও ডেন্টাল[ স্বীকৃত মেডিকেল শিক্ষাগত যোগ্যতা যেমনঃএমবিবিএস,বিডিএস, (এমডি-দেশের বাহিরের)] বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল(বিএমডিসি) এর প্রথম, দ্বিতীয় ও চতুর্থ তপসিল অধিভূক্ত।

৩।আন্ডার গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রি অর্থ্যাৎ ডিপ্লোমা ডিগ্রি –মেডিকেল[ডিপ্লোমা মেডিকেল প্র্যাকটিশনার(স্বীকৃত মেডিকেল শিক্ষাগত যোগ্যতা যেমনঃডিপ্লোমা ইন মেডিকেল ফ্যাকাল্টি)(ডি.এম.এফ) বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল(বিএমডিসি)এর পঞ্চম তপসিল অধিভূক্ত] ।

৪।আন্ডার গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রি অর্থ্যাৎ লাইসেন্স,সার্টিফিকেট বা ডিপ্লোমা ডিগ্রি -ডেন্টাল [অনুমোদিত দন্ত
চিকিৎসক(স্বীকৃত মেডিকেল শিক্ষাগত যোগ্যতা)যেমনঃ যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়, অন্যান্য প্রতিষ্ঠান সমূহ কর্তৃক,
এবং যে সকল ব্যক্তি কলকাতা ডেন্টাল কলেজ ও স্টেট মেডিকেল ফ্যাকাল্টি অব বেঙ্গল কর্তৃক মঞ্জুরীকৃত লাইসেন্স, ডিপ্লোমাধারী বা সার্টিফিকেটের অধিকারী ।বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল(বিএমডিসি)এর (চতুর্থ তপসিল অধিভূক্ত]

এখানে উল্লেখ্য এই যে, উপরোক্ত আন্ডার গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রি ছাড়াও সারা বিশ্বের অন্যান্য দেশের মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল কর্তৃক অনুমোদিত ন্যূনতম ৩ তিন বা ৪ চার বছরের ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারীরা(মেডিকেল সায়েন্স-ডেন্টাল সায়েন্স)অএ বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল(বিএমডিসি)তে নিবন্ধনের যোগ্যতা রাখেন। references: www.bmdc.org.com.bd


DMF কিঃ
এটি চিকিৎসা বিদ্যায় একটি ডিপ্লোমা ডিগ্রী যা প্রতিটি রোগীর সমস্যাকে আলাদাভাবে চিন্তা না করে সামগ্রিকভাবে(প্রতিকার ও প্রতিরোধ)চিন্তা করে সমাধানের পথ খুজে বের করে সবার জন্য মানসম্মত চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করে। এই ডিগ্রীর শিক্ষানবিস কাল সাধারনভাবে ৪ (চার) বছর ।তবে উচ্চশিক্ষারও ব্যাবস্থা রয়েছে।


DMF কেন, কাদের জন্যঃ
এই ডিগ্রীটা শুধু এসএসসি সায়েন্স(বায়োলজী সহ)ব্যাকগ্রাউন্ডের লোকজন করতে পারে।তবে এসএসসি পাশ করার পর,আপনি কেবল তিন বার ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহন করতে পারবেন। তবে বাংলাদেশের অসংখ্য (মেডিকেল স্কুল-ম্যাটস্)এ পড়তে যাওয়া ৫০% শিক্ষার্থী এইচএসসি পাশ করে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করেন ও ভর্তি হন। আর (মেডিকেল স্কুল-ম্যাটস্)এ পড়াকালীন ২৫% শিক্ষার্থী (ডি.এম.এফ)এর পাশাপাশি (এইচএসসি) ও পাশ করেন। এরাও ডিপ্লোমার পাশাপাশি সাধারণ শিক্ষায় স্নাতক ডিগ্রি ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি সেইসাথে বাংলাদেশে চিকিৎসা বিদ্যার পাবলিক হেলথ্ সায়েন্সে মাস্টার্স (এমপিএইচ)ডিগ্রী এবংকি Public Health Science-এ PhD ডিগ্রি অর্জন করতে পারবেন। DMF ডিগ্রিটা কাদের জন্য এটা নিয়ে একটা সরল ব্যখ্যা আছে। আপনি এই DMF ডিগ্রিটা করতে পারেন অন্য যে কারো চেয়ে ভালোভাবে ইন্ডিভিজুয়াল এবং কমিউনিটি দুই লেভেলেই ট্রিটমেন্ট ও প্রিভেনশন নিয়ে কাজ করার জন্য।





শুরুতেই DMF ডিপ্লোমা ডিগ্রধারী ডিপ্লোম চিকিৎসকদের জন্য বিঃ দ্রঃ
ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার, ডিপ্লোমা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার, ডিপ্লোমা আইনজীবী(যুক্তরাজ্য), ডিপ্লোমা কৃষিবিদ, ডিপ্লোমা নার্স, ডিপ্লোমা চিকিৎসা প্রযুক্তিবিদ ইত্যাদি) এদের সব ধরনের উচ্চতর ডিগ্রি অর্জনের  সুযোগ থাকলেও বাংলাদেশে DMF ডিপ্লোমা ডিগ্রধারী ডিপ্লোমা চিকিৎসকদের চিকিৎসা বিদ্যায় শুধুমাত্র ব্যাচেলর ডিগ্রী MBBS করার সুযোগ রয়েছে কিন্তু আরও  অন্যান্য উচ্চত্বর  স্নাতকোত্তর ডিগ্রী যেমনঃMS/MD/FCPS/MCPS  অর্জনের কোন  সুযোগ নেই কিন্তু বিদেশে এর সুযোগ আছে। তাই মাঝে মাঝে DMF ডিপ্লোমা ডিগ্রধারী ডিপ্লোমা চিকিৎসকরা দাবি তুলেন,স্লোগান দেন। সময় হয়েছে অন্যায়ের প্রতিবাদের,সময় হয়েছে দাবি আদায়ের, সময় হয়েছে বিদেশী উচ্চ শিক্ষাকে দেশে আনার .........ইত্যাদি।




DMF এর পাশাপাশি এইচএসসি,স্নাতক, Master 0f Public Health-MPH :
যারা অনেক সময় নষ্ট না করে সহজেই ম্যাটসে্র পর স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করতে চান তাদের জন্য রয়েছে MPH  অর্থাৎ Master of public Health।
এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সহ বেশ কয়েকটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে করা যায়।



ধরুন, আপনি ডিপ্লোমা চিকিৎসক হিসেবে চিকিৎসকতার পাশা পাশি পাবলিক হেলথে ক্যারিয়ার করতে চান ,তাহলে এমপিএইচ করার গুরুত্ব আছে কিনা????
 হ্যা আছে, আপনি যদি দেশের বাইরে যেতে চান, পাবলিক হেলথে ক্যারিয়ার করতে সেক্ষেত্রে সবার প্রথমেই রিসার্চ পেপার এবং রিসার্চ রিলেটেড কাজে এক্সপেরিয়েন্স দেখা হয়। আর পাবলিক হেলথ যেহেতু বারোয়ারী স্বাস্ব্য সমস্যা নিয়ে কাজ করে তাই এই বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রী এবং রিসার্চ পেপার আপনার কাংখিত বিষয়ে পিএইচডি PhD অর্জনে সাহায্য করতে পারে।
পাবলিক হেলথে পিএইচডি ডিগ্রি আমাদের দেশে নেই, কিন্তু বিদেশ অনেক আছে।আশা করি তাড়াতাড়ি-ই আমাদের দেশেও পাবলিক হেলথে পিএইচডি ডিগ্রি চালু হবে।তা ছাড়া Master 0f Public Health-MPH করে আপনি, আপনার নামের পূর্বে প্রিফিক্স ব্যাবহার করতে পারবেন “জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ”। যে প্রিফিক্স সারাবিশ্বে সবার কাছে গ্রহন যোগ্য ও সর্বজন স্বীকৃত।
পাবলিক হেল্থে্ শেষ গ্রুপটি হচ্ছে, কনফিউজড গ্রুপ, আপনি হয়ত এখনো ঠিক করতে পারছেন না আপনি পাবলিক হেলথ এ ক্যারিয়ার করবেন নাকি করবেন না। এ বিষয়ে একটু হিন্টস দিচ্ছি, আপনার কি গবেষবা ধর্মী কাজ করতে ভালো লাগে (গবেষনা বলতে শুধু ল্যাবে বসে কেমিকেল ঘাটা গবেষনা নয়, মানুষকে প্রশ্ন জিজ্ঞেস করেও হতে পারে), আপনার কি সমাজসেবাধর্মী মানসিকতা আছে, অর্থাৎ চিকিৎসা শুধু টাকা অর্জনের জন্য নয়, সবাই মিলে সুস্থ থাকাতে আপনার প্রশান্তি হয়, আপনার কি রোগের উতপত্তি, বিস্তার, সময়ের সাথে বিবর্তন সম্পর্কে জানার ও কাজ করার আগ্রহ আছে? আপনার কি প্রায়ই দেশের হেলথ সিস্টেম এর বিভিন্ন ত্রুটি চোখে পড়ে এবং পরিবর্তন করতে ইচ্ছা করে? আপনার কি হেলথ সিস্টেমে প্রয়োগ করার জন্য নিত্য নতুন আইডিয়া মাথায় আসে? এই প্রশ্নগুলোর কোনটির উত্তর যদি হ্যা হয় তাহলে আপনি পাবলিক হেলথে ক্যারিয়ার এর চিন্তা করতে পারেন।
এইসবগুলো গ্রুপের জন্যেই MPH ডিগ্রীটা প্রয়োজনীয়।




MPH এর চাকরি ক্ষেত্রঃ
-সরকারিভাবে এডমিনিস্ট্রেটিভ, পাবলিক হেলথ, কমিউনিটি মেডিসিন ইত্যাদি সেক্টরে কাজ করা যায়
- বেসরকারিভাবে icddrb, BRAC, USAID, UNICEF, UN, UChigao, OGSB, Damien foundation, CIPRB, ORBIS, Water Aid, ORBIS, Save the Children ইত্যাদি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠন থেকে শুরু করে দেশি বিদেশি অজস্র NGO, রিসার্চ সেন্টারে কাজ করার অনেক সুযোগ আছে।
-বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ্ ডিপার্টমেন্টে শিক্ষকতা সহ বেসরকারী বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ্ ডিপার্টমেন্টে শিক্ষকতা করা যায়।এছাড়াও বিদেশেও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ্ ডিপার্টমেন্টে শিক্ষকতা করা যায়।
-সেই সাথে বেসরকারী ম্যাটস্,আই এইচটি, নার্সিং প্রতিষ্ঠান, হেলথ্ রিলেটেড বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করা যায়।
- দেশের বাইরে কিংবা দেশে একাডেমিক লাইনে যেমন কমিউনিটি মেডিসিনের শিক্ষক বা একাডেমিক রিসার্চার বা রিসার্চ এসিস্টেন্ট হিসেবে কাজ করা যায়।
- হসপিটাল এডমিনিস্ট্রেটর, ডিরেক্টর, ম্যানেজার, ইত্যাদি এডমিনিস্ট্রেটিভ চাকরি
- দাতা সস্থার অর্থে পরিচালিত বিভিন্ন সরকারি বেসকারি প্রজেক্টে কন্ট্রাক্ট ভিত্তিতে নিয়োগ
- রিসার্চ সায়েন্টিস্ট
- এপিডেমিওলজিস্ট, হেলথ রিসোর্স প্ল্যানিং, হেলথ ইকনমিস্ট ইত্যাদি
FAQ (Frequently Asked Question) for MPH




* বাংলাদেশের MPH কি বিদেশে স্বীকৃত?
- নিপসম, ব্র্যাক তো বটেই বাংলাদেশের যেকোন প্রতিষ্ঠান থেকেই আপনি এমপিএইচ ডিগ্রী করে PhD এর জন্য এপ্লাই করতে পারেন যেকোন দেশে। আপনার যোগ্যতা,অভিজ্ঞতা, পাবলিকেশন, জার্নাল, ক্ষেত্রে বিশেষে IELTS, GRE, ইত্যাদি বিবেচনা করে আপনাকে স্কলারশিপসহ বা ছাড়া এডমিশন নিয়ে নেবে পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই।


* ক্লিনিক্যাল এর চেয়ে কি এই লাইনে ক্যারিয়ার করা সহজ? For MPH
- উত্তর হ্যা এবং না! কোন কিছুই সহজ নয় যদি আপনার সেটা ভালো না লাগে। ভালো লাগলে কোয়ান্টাম ফিজিক্সও সহজ, ক্লিনিক্যাল ক্যারিয়ার ও সহজ, বেসিক সাবজেক্টের ক্যারিয়ার ও সহজ। আর ভালো না লাগলে সবই কঠিন। তাই যারা “সহজ” মনে করে এই লাইনে আসতে চান তাদের এখনই বলব থামুন! আপনার জন্য MPH নয়। আপনি এখানে তলানীতে পড়ে থেকে আরো হতাশ হবে যদি ভালো না লাগে। একই ভাবে যারা “শর্টকাট” মনে করে এই লাইনে আসতে চান তাদেরও বলছি, ক্যারিয়ারে কোন শর্টকাট নেই। অভিজ্ঞতা, পরিশ্রম,পড়াশূনা, কাজ, দক্ষতা, প্রেজেন্টেশন ইত্যাদি সব ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ন, এর জন্য সময় দিতেই হবে আপনাকে।
* এই লাইনে কি ক্লিনিক্যালের চেয়ে দ্রুত এবং বেশি অর্থ উপার্জন করা যায়?!
- উত্তর আগের মতই, যদি আপনার যোগ্যতা থাকে আপনি ক্লিনিক্যাল সেক্টরেও অনেক অনেক বেশি উপরে উঠতে পারবেন।




সুতরাং সকল দিক থেকে বিবেচনায় DMF  চিকিৎসক হিসেবে নিজেকে বেচে নেওয়া আমি একটা ছাত্রের সঠিক সিদ্ধান্ত বলে মনে করি।